সারা বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের গাছ রয়েছে, যা নানাবিধ গুণে ভরপুর। প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদশাস্ত্রে গাছ-গাছালির পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা উল্লেখ রয়েছে। কঠিন থেকে সাধারণ রোগ -অসুখ সারাতে বিভিন্ন ধরনের গাছের ঔষধি গুণাবলীকে কাজে লাগানো হয়। এমনকি সরাসরি চিকিত্সাতেও
কাজে লাগে। সেই সব গাছের মধ্যে কাঞ্চন ফুল এক ও অনন্য। এই দেশি ফুলের কেরামতি সম্পর্কে অনেকেই অজ্ঞ। তার ফলে বাড়ির বাগানে এই ফুলের গাছ থাকলেও কল্কে পায় না বেশি। এই ঔষধি গাছের বৈজ্ঞানিক নাম হলে বৌহিনিয়া ভেরিগাটা। আয়ুর্বেদশাস্ত্রে কাঞ্চন ফুলের গাছকে একটি মূল্যবান ভেষজ হিসেবে দেখা হয়। এই অলৌকিক ও পুষ্টিগুণে ভরপুর গাছের পাতা, ফুল, কুঁড়ি, মূল, কাণ্ড, বাকল বা
ছাল বিভিন্ন রোগের মোক্ষম ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অনেক গুরুতর রোগের চিকিত্সায় কাঞ্চন গাছের বিভিন্ন অংশ কাজে লাগে। এই কাঞ্চন ফুল সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে। শ্বেতকাঞ্চন ও রক্তকাঞ্চন। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঞ্চন গাছ থেকে গুগ্গুলু নামে একটি ট্যাবলেট তৈরি করা হয়, যা থাইরয়েড রোগ, পিসিওএস, সিস্ট, ক্যানসার, লিপোমা, ফাইব্রয়েড, চর্মরোগ ও অভ্যন্তরীণ-বাহ্যিক টিউমারের
মতো গুরুতর এবং প্রাণঘাতী রোগের জন্য একেবারে মোক্ষম ওষুধ। কাঞ্চন গাছের আয়ুর্বেদিক গুণাবলী কী কী ও এর সাহায্যে কোন কোন রোগে সাহায্য করা যায়, তা দেখে নিন… কাঞ্চন ফুলের বৈশিষ্ট্য এই অলৌকিক ফুলে রয়েছে ফাইটোকনস্টিটিউয়েন্ট, যেমন হেনট্রিকন্টান,
অক্টাকোসানোল, সিটোস্টেরল এবং স্টিগমাস্টেরল। এই কারণেই এই উদ্ভিদটিকে অ্যান্টিঅ্যালার্জিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। শুধু তাই নয়, অনেক রোগের জন্য মোক্ষম ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
কাঞ্চন ফুলের আয়ুর্বেদিক উপকারিতা-
কুষ্ঠ – চর্মরোগ নিরাময় করে, সোফহারা– ফোলা উপশম করে, স্বরহারা – হাঁপানি উপশম করে. রাসায়ণ – সতেজ বোধ করতে সাহায্য করে, ক্রিমিঘ্ন- কৃমি উপদ্রবে উপকারী, কান্দুঘনা – চুলকানি উপশম করে, বিষঘ্ন – বিষমুক্তকরণে উপকারী, বৃন্হরা- ক্ষতে উপকারী, কাশরা – কাশি উপশম করে
কীভাবে ব্যবহার করবেন –
এই গাছের প্রতিটি অংশই আশ্চর্যজনক ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ, কিন্তু এটি ব্যবহারের সবচেয়ে সহজ উপায় হল এর ফুল ও বাকলের ক্বাথ তৈরি করে খালি পেটে সেবন করা। ব্যবহার করার সময় সতর্কতা প্রয়োজন – চিকিত্সক বলেছিলেন যে ওষুধের উদ্দেশ্যে এটি খাওয়ার আগে,
আপনার একজন আয়ুর্বেদিক ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিত্সা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)