নিজেকে আরও বেশি র্স্মাট ও আকর্ষণীয় করে তোলার টিপস
Image: google

নিজেকে আরও বেশি র্স্মাট ও আকর্ষণীয় করে তোলার টিপস!

আপনি দে’খতে-শুনতে যথেষ্ট ভালো, পোশাক-আশাকও ফ্যাশনের পরেন, তবুও কি আপনাকে সবাই আনস্মা’র্ট বলে?আপনার সামনে কেউ কিছু না বললেও আপনার আড়ালে কি আপনাকে নিয়ে সবাই হাসাহাসি করে? অথবা ‘খ্যা’ত’ বলে ডাকে? সবকটি প্রশ্নের জবাব যদি হ্যা হয়,

তাহলে বুঝতে হবে, আপনার নিজেকে উপস্থাপনে কমতি রয়েছে। স্মা’র্টনেস মানেই দে’খতে ভালো লা’গা বা ট্রে’ন্ডি পোশাক পরা নয়। স্মা’র্টনেস হলো অভ্যন্তরীণ মা’নসিক ব্যাপার। আপনি যা,নিজেকে ঠিক সেভাবেই উপস্থাপন করা হলো স্মা’র্টনেস। ঠিক কীভাবে নিজেকে সবার কাছে উপস্থাপন করবেন তা যদি বুঝে উঠতে না পারেন, তাহলে নিজে’র মধ্যে কিছু ছোট ছোট পরিবর্তন নিয়ে আসুন। কিছু ক্ষেত্রে হয়ে উঠুন

কৌ’শলী। খুব সাধারণ কিছু কৌ’শল অবলম্বন করে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন স্মা’র্টনেসের অধিকারী। ১) কথা বলুন বুঝেশুনে: আপনার কি অনেক কথা বলার অভ্যাস? তাহলে বাড়তি কথা বলা একটু কমিয়ে দিন। যতটুকু প্রয়োজন কথা ঠিক ততটুকু বলার অভ্যাস করুন। কখন, কোথায়, কী বলতে হবে তা বোঝার চেষ্টা করুন। কথা বলুন বুঝেশুনে এবং গু’ছিয়ে। আপনি কী বলতে চাইছেন তা যেন আপনার বক্তব্যে

পরি’ষ্কার বোঝা যায়। ২) খাবার খান নিঃশ’ব্দে আস্তে আস্তে: যাঁরা শব্দ করে খাবার খান তাঁদের কেউ পছন্দ করে না। সকলেই তাঁদের দিকে বির’ক্তির চোখে তাকায়। নিঃশ’ব্দে খাবার অভ্যাস করুন। খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান, এতে শব্দ কম হবে। খাবার সময় যতটা সম্ভব কম কথা বলুন। ৩) পোশাক পরুন রু’চিশীল: হালফ্যা’শনের বা ট্রে’ন্ডি পোশাক পরা মানেই স্মা’র্ট (smart) হওয়া নয়। আপনাকে পোশাকটা

আদতে মানাচ্ছে কি না, সেটাই হলো আ’সল কথা। পোশাক-আশাক যদি ঠিকমতো নির্বাচন না ক’রতে পারেন তাহলে আপনার স্মা’র্টনেস অনেকাংশেই মা’র খেয়ে যাবে। তাই পোশাক পরুন নিজে’র ব্য’ক্তিত্ব অনুযায়ী। ৪) হা’লফ্যাশনের পোশাক নিয়ে দ্বি’ধা-দ্ব’ন্দ্ব থাকলে বেছে নিন ট্র্যা’ডিশনাল বা সব সময়েই যেসব পোশাকের চল থাকে, সেই পোশাকগুলো। যেমন শাড়ি, সাধারণ ছাঁ’টের সালোয়ার-কা’মিজ, স্কার্ট,

ফ’র্মাল শা’র্ট, প্যা’ন্ট, স্ট্রে’ইট কা’টের জিন্স, পোলো টিশার্ট ইত্যাদি। কী রঙের পোশাক বেছে নেবেন তা বুঝতে না পারলে পরুন হালকা যেকোনো রঙের পোশাক। হালকা রং সবাইকেই মানিয়ে যায়। ৫) খাবার খাওয়ার রীতিনীতি: খাবার খাওয়ারও কিছু নিয়ম-কানুন আছে সেগুলো শিখে নিন। যেমন চামচ, কাঁ’টা চা’মচ, ছু’রি ব্যবহারের নিয়ম, ন্যা’পকিন ব্যবহারের নিয়ম, কোনটার পরে কী খেতে হয় ইত্যাদি। আপনার

খাবার ধ’রণ আপনার স্মা’র্টনেস বাড়িয়ে তুলবে বহু গু’ণ। ৬) নূন্যতম সৌ’জন্যতাবোধ: সব জায়গাতেই কিছু ন্যূনতম সৌজন্যতা মেনে চলা উচিত। এতে যেমন বু’দ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায় তেমনি স্মা’র্টনেসেরও পরিচয় পাওয়া যায়। যেমন খুব জো’রে জো’রে কথা বলবেন না। বিশেষ করে ক’র্মক্ষেত্রে। ধুপধাপ পা ফে’লে না হেঁ’টে নিঃ’শব্দে হাঁটার চেষ্টা করুন। কারো সাহায্য নেবার পর ধন্যবাদ জা’নানোও কিন্তু

সৌজন্যতাবোধের মধ্যে প’ড়ে। কাউকে বির’ক্ত করলে ‘দুঃখিত’ বলুন। এগুলো খুবই ফর্মাল আচরণ মনে হলেও সৌজন্যতাবোধের বহিঃপ্র’কাশও বটে! ৭) হেসে হেসে সুন্দর করে কথা বলুন: হেসে, সুন্দর করে কথা বলাও স্মা’র্টনেসের পরিচায়ক। তাই বলে কথায় কথায় হো হো করে হাসবেন না যেন! এটাও শোভন নয়। স্মিতহাস্যে কথা বলুন সবার সাথে। মানুষটি যদি বির’ক্তিকরও হয়, আপনার কথা শুনে সে যেন

আপনার বির’ক্তিটুকু ধ’রতে না পারে। মোট কথা, আপনার সাথে কথা বলে যেন কারো মনে না হয় আপনি রূঢ় আচরণ করছেন। ৮) ভালো ব্যবহার করুন: যেকোনো পরিবেশে মানিয়ে চলাটাই স্মা’র্টনেসের (smartness) অন্যতম পরিচায়ক। আপনার মনের অবস্থা যদি খা’রাপও হয়, ভালো ব্যবহার করুন সবার সাথে। অল্পতেই বির’ক্ত হবেন না বা রে’গে যাবেন না। ধৈ’র্য ধ’রে ধীরস্থির ভাবে সবার সাথে ভালো ব্যবহার করে যান। প্রতিটা সময় ভালো আচরণ আপনাকে গড়ে তুলবে একজন স্মা’র্ট মানুষ হিসেবে

Check Also

আকর্ষণীয় ফিগার

আকর্ষণীয় ফিগার পেতে চাইলে যা করবেন

আগেকার দিনে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলতে বোঝাতো নাদুস-নুদুস চেহারার মানুষ। যুগের সাথে মানুষের চাওয়া-পাওয়া বদলে গেছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *