পেটের বিভিন্ন সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। যার মধ্যে অন্যতম হলো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। জানলে অবাক হবেন, এই সমস্যাও কিন্তু কিডনির সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে। একই সঙ্গে তলপেটে ব্যথা, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার মতো নানা লক্ষণ কিন্তু কিডনিতে পাথরের ইঙ্গিত দেয়।
আসলে কিডনিতে পাথর কোথায় ও কতগুলো আছে এ সবের উপরেই অসুখের লক্ষণ নির্ভর করে। যে কারণে হঠাৎ কিডনি বিকল হতে পারে পাথর যদি খুব ছোট আকারের হয়, তাহলে কোনো লক্ষণ নাও টের পেতে পারেন। তাই কিছু লক্ষণ জেনে রাখা ভালো, যাতে এই অসুখ নিয়ে
আগাম সচেতন হওয়া যায়। কিডনিতে পাথর জমেছে কি না, তা কোন কোন লক্ষণে বুঝবেন জেনে নিন- কিডনি রোগের যে লক্ষণ ফুটে ওঠে ত্বকে পিঠ ও পাজরে ব্যথা কিডনিতে পাথর হলে পিঠের দিক ও পাঁজরের দু’পাশে তীব্র ব্যথা হতে পারে। ব্যথা অল্প হলেও অবহেলা করবেন
না। প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ব্যথা বেশি দিন ফেলে রাখলে শরীরের অন্দরে জটিলতা বাড়তে পারে। যে ৫ লক্ষণে বুঝবেন কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে না
1. তলপেটে ব্যথা- তলপেটেও ব্যথা হতে পারে। বেশ কিছু দিন ধরে এই ব্যথা হতে থাকে, তা হলে সাধারণ সমস্যা বলে এড়িয়ে যাবেন না। কিডনিতে পাথর জমার অন্যতম লক্ষণ হলো তলপেটে ব্যথা। ব্যথা কিছুতেই না কমলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ করে নিন। ডায়রিয়া
থেকেও হতে পারে কিডনি বিকল, যেভাবে সতর্ক থাকবেন
2. প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া- কিডনিতে পাথর জমলে প্রস্রাবের সময়ে কিংবা প্রস্রাবের পরবর্তী সময়ে জ্বালা অনুভব হয়। প্রস্রাবের সময়ে কোনও রকম কষ্ট অনুভব হলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।
3. প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, প্রস্রাবের সঙ্গে যদি রক্ত দেখা দেয়, তা হলে তা আরও চিন্তার। এই লক্ষণগুলি এক বার দেখা দিলে তা এড়িয়ে যাবেন না।
এক উপাদানেই কমবে ওজন, দূর হবে কিডনির পাথর
4. গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা- কিছু খেলেই বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, শারীরিক ক্লান্তি, ক্ষুধা না লাগা ইত্যাদি কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ হতে পারে। অনেকেই এই উপসর্গগুলোকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ভেবে ভুল করেন। তাই এমন কিছু লক্ষণ দেখলে এড়িয়ে না গিয়ে বরং চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।
5. জ্বর হওয়া ঘন ঘন জ্বর হওয়াও কিন্তু কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ। ঠান্ডা লাগার কারণেই যে সব সময় জ্বর হবে এমনটি ভাববেন না। কিডনিতে পাথর হলেও জ্বর হয়। সূত্র: মায়োক্লিনিক
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিত্সা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)