মাত্র ৩ দিন এই খাবার খান নিজেই বুঝবেন তফাৎটা
Image: google

মাত্র ৩ দিন এই খাবার খান নিজেই বুঝবেন তফাৎটা

মাত্র ৩ দিন খান এই খাবার- আমরা সবাই খুব ভালোভাবে জানি যে উচ্চ পরিমাণে ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার স্থূলতার কারণ হয়ে থাকে এবং তার জন্য অবশ্যই জাঙ্ক ফুড খাওয়ার পরিমাণ কমানোর চেষ্টা করা উচিত।কিন্তু, আজকের দিনে আমাদের এমন একটি মিলিয়ন

ডলারের প্ল্যান আছে যেগুলি আপনার সব কঠোরভাবে তালিকাভুক্ত খাদ্যের পরিকল্পনাগুলি শুরু করার আগে পরিকল্পনা করেছে।যে জন্য, আপনি প্রথমে স্থূলতার মূল কারণ বের করুন‌। একমাত্র গোড়ায় গিয়ে আপনি সমস্যা খুঁজে বের করতে সক্ষম হবেন, এবং সব সমস্যার সমাধান‌ জানতে হবে। সর্বাধিক ওজন বা স্থূলতার জন্য যে প্রাথমিক উপাদান দায়ী, সাধারণত, চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে চিনি । সঠিক

পরিমাণ চিনি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক নয়, কিন্তু অনেক মানুষ জানে না যে তারা প্রচুর পরিমাণে চিনির খাদ্য গ্রহণ করে, যেগুলি শস্য, সোডা, সালাদ, পানীয়, ক্যান্ডি, দই ইত্যাদি সহ বিভিন্ন জিনিস হতে পারে যা দোকানে পাওয়া যায়।এখানে চিনির থেকে পরিত্রাণ পেতে একটি ৩ দিনের ডেটক্স পরিকল্পনা করা হয়েছে । অন্যভাবে, কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং ডায়াবেটিস ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য। কিছু শুরু করার

আগে সব থেকে জরুরি হচ্ছে আপনার শক্তিশালী মনোবল। এখন আপনি জানেন প্রথম পদক্ষেপটি হবে মনোবল। যদিও এটি সর্বদা সর্বপ্রথম ৩ দিনের প্রক্রিয়ায় ইনিশিয়ালাইজ করা শুরু করেছে, তবুও আপনার অনেক দৃঢ়তা প্রয়োজন।করার চেয়ে বলা অনেক সহজ, প্রয়োজন দৃঢ়তার; আপনি ওজন কমাতে এবং আপনার প্রেরণা হিসাবে এটি করতে চান, এটিই আপনার লক্ষ্যে পৌঁছনোর সাহায্য করবে। শক্তভাবে বলুন না চিনি

ছাড়বো। এইটা হল তিনদিনের Detox প্লান চিনি ছাড়ার। তিন দিনের জন্য, এইভাবে দিন শুরু করুন… ১ কাপ ওটস বীজের সাথে আমন্ড: বা আঙুর বা দুটি সেদ্ধ ডিম দিয়ে দিনের শুরু করুন। তারপর এক বাটি বাদাম এবং খাবার খান। দুপুরের খাবারের জন্য মুরগি, স্নেপ, গাজর, প্যারডি, বীট, মটরশুঁটি এবং কাজুবাদাম খান।মাশরুম এবং ফুলকপির সাথে মাছ, সঙ্গে সবুজ মটরশুটি – ডিনারের জন্য দিনের শেষে আপনি লক্ষ্য করতে পারবেন যে আপনার শরীরের বিশেষ কিছু পরিবর্তন এসেছে।

১. উপযুক্ত খাবার: খুব খাচ্ছেন একটু যাতে শরীরে লাগে। কিন্তু কিছুই কাজ হচ্ছে না! এর কারণ আপনি সঠিক সময় সঠিক খাবার খাচ্ছেন না। যেমন, সকাল শুরু করুন বাদাম আর কিশমিশ দিয়ে। কাঠ বাদাম হলে ভালো হয়। কাঠ বাদাম ও কিশমিশ আগের দিন ভিজিয়ে রাখুন। সকালে দাঁত মেজে খেয়ে নিন। এটা রোজের রুটিন করে নিন। এর সাথে পুষ্টিকর খাবার। শাক-সবজি, ফল, সেই সঙ্গে ছানা। ডিম বেশী করে খেতে হবে। এগুলোতে ফ্যাট ও প্রোটিন থাকে।সবজির মধ্যে আলু, কুমড়ো এসব বেশী খেলে ভালো। রাত্রে শুতে যাবার ঠিক আগে দুধের সাথে মধু মিশিয়ে খান। এতেও খুব ভালো কাজ হয়। ঠিক ঘুমোবার আগেই একটা পুষ্টিকর খাবার খেলে খুব ভালো।
২. বার বার খাবেন না: কি ভাবছেন, বার বার খেলে ওজন বাড়বে? না, বরং উল্টোটা হবে। বার বার একটু একটু করে নয়, যখন খাবেন বেশী করে খান পেট পুরে খান। পেট পুরে খেলে শরীরে মেটাবোলিজম কমবে। যেটা মোটা হবার প্রথম শর্ত। আর ওজন খুব কম হলে, খাবারের পরিমাণ তো একটু বাড়াতেই হবে। যারা বাড়িতে থাকেন, তাঁরা দুপুরে খাওয়ার পর, ১ঘণ্টা একটু ঘুমিয়ে নিন। যতদিন না ওজন বাড়ছে। এতেও কিছুটা বাড়বে। আর সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে থাকবেন না। একঘণ্টার মধ্যেই ব্রেকফাস্ট করুন।

৩. ব্যায়াম করুন: স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে মোটা হতে চান? তাহলে ব্যায়াম করুন। জিমে যান। কিছু কিছু ব্যায়াম ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন পুশ আপ, ডাম্বল শোল্ডার, যোগাসন, জগিং, বেঞ্চ প্রেস ইত্যাদি। এগুলো রোজ না হলেও সপ্তাহে অন্তত তিনদিন করুন। সুগঠিত পেশীর জন্য এটা দরকার। জিমে গেলে, জিম ট্রেনার আপনাকে সঠিক ট্রেনিং দিয়ে দেবে। সেটা না হলে বাড়িতেই করুন। ব্যায়াম করার পর খিদেও পাবে।বেশী করে খেতে পারবেন। ব্যায়াম করার একঘণ্টা আগে হালকা ব্রেকফাস্ট করে নিন। আর একটু ভারী ব্রেকফাস্ট চাইলে তিন ঘণ্টা আগে করুন। খেতে পারেন টোস্ট, ডিম সেদ্ধ, এক গ্লাস দুধ। বা এক বাটি ওটস।
৪. বেশী করে প্রোটিন ক্যালোরি: খাবারের তালিকায় বেশী করে প্রোটিন, ক্যালোরি যেন থাকে। এর জন্য বেশী করে বাদাম, ফল, মাংস, মাখন, পনির। বিশেষত কাঠ বা কাজু বাদাম খুব ভালো ওজন বাড়াতে। সকালের খাবার তো মোটামুটি বলেই দিলাম। দুপুরে ভাত, তরকারী, ডাল, দই মাছ বা মাংস। ভাত খাওয়া সম্ভব না হলে রুটি চলতে পারে। সন্ধেবেলাও পেট খালি রাখবেন না। এক গ্লাস দুধ বা স্যাণ্ডউইচ। আর রাতে দুপুরের মতই খাবার খেতে হবে। এছাড়াও যতদিন না ওজন বাড়ে, বাড়িতে তৈরি তেলে ভাজা খাবার খেতে পারেন। তবে খুব বেশী না।

৫. ফাস্ট ফুড না: ওজন বাড়াতে খুব ফাস্ট ফুড খাছেন? কিন্তু এটা শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করছে। শরীরে খারাপ ফ্যাটের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। চর্বি বেড়ে যায়। তাই শরীরের ক্ষতি করে নয়, স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে ওজন বাড়ান। তাই রাস্তার ফাস্ট ফুড কম খান। তবে মাঝে মাঝে খাওয়া যেতে পারে। তবে খুব বেশী না

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *