ঢেঁড়স বা ভেন্ডি রান্নায় পিচ্ছিল ভাব কাটানোর সহজ উপায়
Image: google

ঢেঁড়স বা ভেন্ডি রান্নায় পিচ্ছিল ভাব কাটানোর সহজ উপায়

অনেকেই ঢ্যাঁড়শ বা ভিন্ডি খেতে ভালোবাসেন কিন্তু এটা রান্না করতে একদম মজা পান না। কেন? কারণ বেশির ভাগ সময়, এটি আঠালো এবং পাতলা হয়ে যায়। যা শুধুমাত্র রান্নার প্রক্রিয়াটিকে দীর্ঘ এবং কঠিন করে তোলে। রান্না করার সময় এটি যাতে লোদ লোদ

বা আঠালো না হয় তার টিপস নিয়ে আজ হাজির। ঢ্যাঁড়শ বা ভিন্ডি পিচ্ছিল হওয়া থেকে প্রতিরোধ করার ৮টি টিপসঃ ঢ্যাঁড়শ বা ভিন্ডি সঠিক ভাবে রান্না করতে এই টিপসগুলি ব্যবহার করুন৷ পিচ্ছিল ভাব খুব সহজে দূর হয়ে যাবে এতে।

১. ঢ্যাঁড়শ বা ভিন্ডি কেনার সময় খেয়াল রাখুনঃ ঢ্যাঁড়শ বা ভিন্ডি কেনার সময় ভালো করে বেছে নিন। যত কচি হবে তত ভালো। এতে আঠালো ভাব বেশি হয় না। তাই এটা সবচেয়ে বেস্ট অপশান।
২. ঢ্যাঁড়শ বা ভিন্ডি কাটার সময় খেয়াল রাখুনঃ ঢ্যাঁড়শ কেটে নিয়ে তারপর ধোবেন না। কাটার আগেই সামান্য নুন জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর কাটুন দেখবেন ঢ্যাঁড়শ টাইট থাকবে, পিচ্ছিল হবে না।

৩. ঢ্যাঁড়শ বা ভিন্ডি শুকিয়ে নিন ভালো করেঃ আর্দ্রতা বা জলের সাথে ঢ্যাঁড়শে স্লাইম বা মিউকিলেজ বৃদ্ধি পায়। তাই কাঁচা ভিন্ডি ধোয়ার পর, রান্না করার আগে সবসময় পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে শুকিয়ে নিন।
৪. দই যোগ করুনঃ ভিন্ডি ভাজার সময় এক চা চামচ দই যোগ করুন এতে তবে তা ঢ্যাঁড়শ আঠালো হওয়ার আগেই দেবেন। ভিন্ডি নন-স্টিকি হবে। এর টেস্টও বেড়ে যায়। একইভাবে, আপনি চাইলে দইয়ের পরিবর্তে লেবুর রসও যোগ করতে পারেন।

৫. ময়দা মিশিয়ে দিনঃ ঢ্যাঁড়শ ভাজার আগে এক চামচ বেসন বা ময়দা এতে মিশিয়ে দিন। ফলে ভাজার সময় এটা পিচ্ছিল হবে না। কুচকে গিয়ে ছোট হয়েও যাবে না।
৬. ভিনেগারের ব্যবহারঃ এক কাপ জল এবং ১/৪ কাপ ভিনেগার মিশিয়ে একটি ভিনেগার দ্রবণ তৈরি করুন এবং দ্রবণে কাঁচা ভিন্ডি ভিজিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। রান্না করার আগে ভালো করে মুছে নিয়ে তবে রান্না করুন। এতে ঢ্যাঁড়শ টাইট থাকবে।
৭. ঢ্যাঁড়শের বড় শত্রু আর্দ্রতাঃ ঢ্যাঁড়শের বড় শত্রু আর্দ্রতা। তাই এটা রান্নার সময় কখনই ঢেকে রান্না করবেন না। যে প্যানে ভিন্ডি রান্না করা হচ্ছে না ঢেকে এটা বানান। আপনি যখন ঢাকনা লাগান, বাষ্প তৈরি হয় এবং আর্দ্রতা বাড়ে। ফলে ঢেঁড়শ বেশি বাজে ভাবে নরম হয়ে যায়।

৮. লবণের ব্যবহার সঠিক সময়ঃ ঢ্যাঁড়শ ভাজা বা ঢ্যাঁড়শের তরকারি বানানোর সময় লবণ প্রথম দিকে যোগ করবেন না। প্রথমে যোগ করলে লবণ আদ্রতা বাড়িয়ে দেয় ফলে ঢ্যাঁড়শ নরম হয়ে পিচ্ছিল দেখায়। রান্নার শেষ ভাগে এটি যোগ করুন। আপনার পছন্দের ঢ্যাঁড়শ এবার থেকে রান্না করার সময় এই হ্যাকগুলি ব্যবহার করে দেখুন, কোনো ঝামেলা ছাড়াই মুচমুচে কুড়কুড়ে হবে ঢ্যাঁড়শ।

Check Also

৬টি সহজ টিপস, যা আমরা অনেকেই জানি না!

৬টি সহজ টিপস, যা আমরা অনেকেই জানি না!

1. সহজেই ভালো-খারাপ ডিম চেনার উপায় : শহরের এই কাজের চাপে বারে বারে দোকানে যাওয়া …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *