প্রত্যেকেই দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করে থাকেন। অন্য কোনো ওষুধ ঘরে না থাকলেও অন্তত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সবার ঘরেই মিলবে। রোগ হলে সুস্থ হওয়ার জন্য ওষুধ সেবন করতে হয়।তবে যে কোনো ওষুধই চিকিৎসকের পরাম’র্শ মোতাবেক খাওয়া উচিত। জানেন কি?





ওষুধ খাওয়ার সময় কিছু ভুলের কারণে এর সম্পূর্ণ কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এসব ভুলই পরবর্তীকালে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। জেনে নিন সেসব ভুলের কথা- ওষুধ সেবনের শুরুর কয়েকদিন পর একটু ভালো হয়ে গেলে অনেকেই তা ছেড়ে দেয়। এটি মা’রাত্মক বিপদ





ডেকে আনতে পারে। সম্পূর্ণ ডোজ শেষ করা খুবই জরুরি। সব ওষুধের সঙ্গে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। অ্যান্টাসিড অন্যান্য ওষুধের প্রভাবকে নষ্ট করে দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে বা এক ঘণ্টা পরে অ্যান্টাসিড গ্রহণ করুন। একসঙ্গে বিভিন্ন ওষুধ খাবেন না। এতে একটি ওষুধ আরেকটি ওষুধের প্রভাবকে কমিয়ে দেয়। একে বলে মিথস্ক্রিয়া। ওষুধ সেবনের জন্য সময়টা ঠিক রাখা গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট





সময় মেনে ওষুধ খেলে ওষুধের পুরো কার্যকারিতা মেলে। দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম। এ কারণে দুধ খাওয়ার পরে ওষুধ খেলে এর বিক্রিয়া ঘটতে পারে। ধূমপানে আসক্তদের ক্ষেত্রে ওষুধের কার্যকারিতা কমে আসে। যখন ওষুধ খাচ্ছেন, চেষ্টা করুন ধূমপান না করতে। > খাওয়া শেষ করেই ওষুধ খাবেন না। খাবার খাওয়ার অন্তত ২০ মিনিট আগে বা পরে ওষুধ খান। ওষুধ খাওয়ার সময় চা কফি খাবেন না। এটি ওষুধের ভালো





প্রভাবকে নষ্ট করে দিতে। ওষুধ খাওয়ার আগে অথবা আধা ঘণ্টা পর চা-কফি খান। ডায়াবেটিসে আ’ক্রান্ত রোগীরা নিয়মিত ওষুধ খেলে কোনো বেলায় খাবার বাদ দেবেন না। অবশ্যই খাবার ও ওষুধের সময়সূচি ঠিক রাখাটা জরুরি। গর্ভাবস্থায় সব ধরনের ওষুধ সেবন করবেন না। এ সময়ে যে কোনো ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরাম’র্শ নিন। সুত্র: বোল্ডস্কাই









