নানা রকম ভাজাপোড়া খাওয়া। বেগুনি, আলুচপ, ডিমচপ ইত্যাদি নানা আইটেম তেলে ভাজার পর সেই তেল আর ব্যবহার করা হয় না। কারণ সেই তেলের তলানীতে অনেক সময় পো’ড়া অংশ প’ড়ে আবার তেল কালচেও হয়ে যায়। তবে একটু বুদ্ধি খাটালেই এই তেল আবার পরিশুদ্ধ
করে ব্যবহার করা সম্ভব। এতে অপচয় রো’ধ হবে এবং তেলের সঠিক ব্যবহারও করা যাবে। দেরি না করে চলুন জে’নে নেয়া যাক পদ্ধতিটি-ফিল্টার করার জন্য একটি পাত্রে তেল নিয়ে তা চুলায় বসিয়ে দিন। তারপর তেলটা গরম ক’রতে থাকুন। মনে রাখবেন এই সময় তেলের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের বেশি যাতে না হয়। আর তা বোঝার জন্য তেলে একটি কাঠি দিয়ে দিন। বুদবুদ ওঠা শুরু করলে বুঝবেন
তেল যথেষ্ট গরম হয়ে গেছে। তাপ দিলে তেলের ঘনত্ব কমে যায় তাই ফিল্টার ক’রতে সুবিধা হয়। যথেষ্ট গরম হলে পাত্রটি চুলা থেকে নামিয়ে নিন।একটি বড় পাত্র নিন। এর উপরে একটি বড় স্টিলের ছাকনি নিন। এবার ছাকনির উপরে কিচেন টিস্যু এক পরত দিয়ে দিন। এবার ধীরে ধীরে তেলটা ছাকনির উপরে ঢালুন। এই ছাকনি ও টিস্যু তেলের স’ঙ্গে থাকা উচ্ছিষ্ট অংশ গুলো ফিল্টার করবে। মনে রাখবেন তেল যথেষ্ট
গরম হলে দ্রুত ফিল্টার হয়ে যাবে। আর তেল ঠাণ্ডা হলে অনেক সময় লাগবে। ছাকার সময় প্রথমে তেল দ্রুত পড়লেও ধীরে ধীরে গতি কমে যাবে। তাই ধৈর্য ধ’রে তেলটা ঢালতে থাকুন। দরকার হলে পুরো তেলটা ঢেলে ১ঘন্টা রেখে দিন। দেখবেন আস্তে আস্তে স’ম্পূর্ণ তেল ফিল্টার
হয়ে গেছে।মনে রাখবেন, যে তেল মাংস ভাঁজার কাজে ব্যবহার ক’রেছেন সেই তেল মাংস রান্না বা ফ্রেঞ্জ ফ্রাই ভাঁজার কাজে ব্যবহার করবেন। অন্য খাবারে ব্যবহার করলে মাংসের স্বাদ চলে আসতে পারে।